Friday, February 3, 2012

কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক : বাঁকে বাঁকে কাচ বসিয়ে দুর্ঘটনা রোধের পদক্ষেপ


প্রতি বছরই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে শত শত মানুষ। আর কতজন পঙ্গুত্ব বরণ করছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আদালতের নির্দেশে সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে বাঁকে কাচ (লুকিং গ্লাস) বসানো হয়েছে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কে। এসব গ্লাস স্থাপনের ফলে বাঁকের দিক থেকে আসা গাড়ি সহজেই দেখতে পাবে অন্যদিক থেকে আসা গাড়ির চালক। গ্লাসগুলো স্থাপনের ফলে এ সড়কে দুর্ঘটনা কমে আসবে। পাশপাশি সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটকদের মাঝেও বান্দরবানের আকর্ষণ বেড়ে যাবে অনেকাংশে।
সাম্প্র্রতিক সময়ে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বান্দরবান জেলা যুগ্ম জজ আদালতের নির্দেশ ক্রমে বাঁকে বাঁকে গ্লাস স্থাপন করা হয়েছে।

সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে কাচ স্থাপন করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক যানবাহন চালক। বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের কয়েকটি স্থানে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেশ কিছু বাঁক রয়েছে। পাহাড়ি এলাকার সড়ক উঁচু-নিচু হওয়ায় এসব বাঁকে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বান্দরবান জেলা যুগ্ম জজ আদালত সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতে গ্লাস বসানোর নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগ বাঁকগুলোতে কাচ স্থাপন করেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের হলুদিয়া, রেইছা, মেঘলা ও কসাই পাড়াসহ মোট ৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে গ্লাস বসানো হয়েছে। বাঁকগুলোতে স্থাপিত কাঁচের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট এবং প্রস্ত সাড়ে ৩ ফুট। সড়কের একদিক থেকে আসা গাড়ি অন্যদিক থেকে খুব সহজে কাঁচের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। যা আগে দেখা যেতো না বলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটত। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে কাচ বসানোর উদ্যোগের প্রশংসা করে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের বাসচালক আবদুস ছবুর জানান, কাচগুলো দুর্ঘটনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কারণ আগে বড় বাঁকগুলোতে একদিক থেকে আসা গাড়ি অন্যদিক থেকে দেখা যেত না। কিন্তু এখন গ্লাসে একদিক থেকে আসা গাড়ির প্রতিবিম্ব অন্যদিক থেকে আসা যানবাহন চালক খুব সহজে দেখতে পায়। ফলে অনেক দূর থেকে সর্তক হতে পারে। ট্রাক চালক মঈনুদ্দিন জানান, বাঁকে বাঁকে স্থাপিত এসব কাচ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করবে। এ ব্যাপারে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সড়কের কসাইপাড়া, মেঘলা, রেইছা ও হলুদিয়াসহ মোট ৮টি স্থানে কাচ বসানো হয়েছে। মূলত সড়ক দুর্ঘটনা রোধের জন্য এসব কাচ স্থাপন করা হয়েছে। এসব কাচ স্থাপন করতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার টাকা। আরও কয়েকটি বাঁকে কাচ স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান। অপরদিকে কাচ গুলো স্থাপনের কয়েক দিন না যেতেই কয়েকটি কাচ কে বা কারা ভেঙে ফেলেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

No comments:

Post a Comment